Logo

জমঈয়ত শুব্বানে আহলে হাদীস বাংলাদেশ

Jamiyat Shubbane Ahl-Al Hadith Bangladesh

এই ওয়েবসাইটটি বর্তমানে উন্নয়নাধীন। সকল তথ্য খুব শীঘ্রই যুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ!

শাইখ ‘আবদুল-‘আযীয বিন ‘আবদুল্লাহ আলে শাইখ (রাহিমাহুল্লাহ)  প্রাক্তন গ্র্যান্ড মুফতী, সৌদি আরব

শাইখ ‘আবদুল-‘আযীয বিন ‘আবদুল্লাহ আলে শাইখ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রাক্তন গ্র্যান্ড মুফতী, সৌদি আরব

2025

সামাহাতুশ শাইখ ‘আবদুল-‘আযীয বিন ‘আবদুল্লাহ আলে শাইখ (রাহিমাহুল্লাহ)

প্রাক্তন গ্র্যান্ড মুফতী, সৌদি আরব


---

পরিচিতি

সামাহাতুশ শাইখ ‘আবদুল-‘আযীয বিন ‘আবদুল্লাহ আলে শাইখ (রাহিমাহুল্লাহ) ছিলেন সৌদি আরবের ইসলামী জ্ঞানের এক মহান বাতিঘর। তিনি সৌদি আরবের তৃতীয় গ্র্যান্ড মুফতী, উচ্চ উলামা পরিষদের সভাপতি এবং ইসলামিক গবেষণা ও ফাতাওয়া বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর পূর্বসূরি ছিলেন শাইখ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম আলে শাইখ ও শাইখ আবদুল আযীয বিন বায (রাহিমাহুমুল্লাহ)।【সৌদিপিডিয়া】


---

জন্ম ও শৈশব

জন্ম: ৩০ নভেম্বর ১৯৪৩ (৩ যিলহজ্জ ১৩৬২ হিজরী), মক্কা আল-মুকাররমা।

পিতা ইন্তিকাল করেন ১৯৫১ সালে, তখন শাইখের বয়স মাত্র ৮ বছর।

অল্প বয়সেই কুরআনের হাফিজ হন (মাত্র তিন বছরে সম্পূর্ণ হিফয সমাপ্ত করেন)।

২০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই দৃষ্টিশক্তি হারান।

শাইখ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম আলে শাইখের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিকভাবে শরীয়াহ শিক্ষালাভ করেন।【সৌদিপিডিয়া】



---

শিক্ষা জীবন

১৯৫৫–১৯৬১: শাইখ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম আলে শাইখ-এর নিকট কিতাবুত তাওহীদ, আল-উসূলুস সালাসা, আরবা‘ঈন নবাওয়ী ইত্যাদি অধ্যয়ন।

ফারায়েয শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন শাইখ ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ)-এর নিকট।

১৯৫৫ সালে ভর্তি হন মা‘হাদ ইমামিদ দা‘ওয়াহ আল-‘ইলমী, রিয়াদ।

১৯৬১ সালে ভর্তি হন জামি‘আতুল ইমাম মুহাম্মাদ বিন সা‘ঊদ আল-ইসলামীতে এবং ১৯৬৪–১৯৬৫ সালে আরবি ভাষা ও শরীয়াহ শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।【সৌদিপিডিয়া】



---

কর্মজীবন

শিক্ষকতা

১৯৬৫ সালে মা‘হাদ ইমামিদ দা‘ওয়াহ আল-‘ইলমীতে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন।

১৯৭৯ সালে ইমাম মুহাম্মাদ বিন সা‘ঊদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীয়াহ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক।

১৯৮০ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান।

তিনি সৌদি আরবের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সভার সদস্য ছিলেন এবং বহু মাস্টার্স ও পিএইচডি গবেষণাপত্রের তত্ত্বাবধায়ক ও মূল্যায়নকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।【সৌদিপিডিয়া】


ইমাম ও খতীব

১৯৬৯ সালে রিয়াদের শাইখ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম মসজিদে ইমামতি শুরু।

একই বছর শাইখ আবদুল্লাহ বিন আব্দুল লতীফ মসজিদে জুমার ইমাম হন।

পরবর্তীতে তুর্কি ইবন আব্দুল্লাহ গ্র্যান্ড মসজিদের খতীব নিযুক্ত হন।

১৯৮২ সালে আরাফার মসজিদে নামিরার খতীব নিযুক্ত হন।

তিনি নিয়মিতভাবে রেডিও, টেলিভিশন, হালাকা, সেমিনার ও সম্মেলনে বক্তব্য রাখতেন।【সৌদিপিডিয়া】


রাষ্ট্রীয় পদ

১৯৮৭: উচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য।

১৯৯৫: সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতীর ডেপুটি।

১৯৯৯: শাইখ ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) ইন্তিকালের পর গ্র্যান্ড মুফতী নিযুক্ত হন।【সৌদিপিডিয়া】



---

সাহিত্য কর্ম

শাইখ আবদুল-আযীয আলে শাইখ বহু গ্রন্থ ও ফাতওয়া রচনা করেছেন। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য রচনা হলো:

কিতাবুল্লাহি আযযা ওয়াজাল্লা ওয়া মাকানাতুহূল আযীমা

হাকীকাতু শাহাদাতি আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ

আল-জামি‘উ লি খুতবাতি ‘আরাফা


এছাড়া তাঁর প্রদত্ত ফাতাওয়াসমূহ বিশেষ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে, যেমন:

ফাতাওয়া আল-‘আকীদাহ

ফাতাওয়া আত-তাহারাত ওয়াস-সালাত

আহকাম ওয়া ফাতাওয়ায যাকাত

ফাতাওয়াস সিয়াম

ফাতাওয়াল হজ্জ

নূরুন ‘আলাদ-দার্‌ব প্রোগ্রামের ফাতাওয়া সংকলন【সৌদিপিডিয়া】



---

বিশেষ অবদান

দৃষ্টিশক্তি হারিয়েও তিনি শরীয়াহ বিজ্ঞানে অসামান্য দক্ষতা প্রদর্শন করেন।

সৌদি আরব ও আরব বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামী কাউন্সিল ও কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, আকিদার স্বচ্ছতা ও শরীয়াহ অনুসরণের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অত্যন্ত কণ্ঠস্বর।【সৌদিপিডিয়া】



---

মৃত্যু

তারিখ: ১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরী

মোতাবেক: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

স্থান: মক্কা【সৌদিপিডিয়া】



---

উপসংহার

শাইখ আবদুল-আযীয বিন আবদুল্লাহ আলে শাইখ (রাহিমাহুল্লাহ) ছিলেন মুসলিম বিশ্বের এক প্রভাবশালী আলেম, মুফতী, শিক্ষক ও দাঈ। তাঁর ইলম, ফাতওয়া ও সাহিত্যকর্ম মুসলিম উম্মাহর জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।

দোআ:
اللهم اغفر له وارحمه رحمة واسعة، وجعل علمه وفتاواه في ميزان حسناته.


---
📚 তথ্যসূত্র
সৌদিপিডিয়া: https://www.saudipedia.com